ডিজএবিলিটি ল’ প্যারালিগ্যাল ১০১কোর্স (অনলাইন) | দ্বিতীয় কোহর্ট

কোর্সের পটভূমী

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অদ্যাবধী অসংখ্য আইন, বিধিমালা, নীতিমালা প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন। সকল আইনী বিধিবিধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মপরিকল্পণা তৈরী করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায় থেকে সচিবালয় পর্যন্ত চার স্তরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার সুরক্ষা বিষয়ক প্রায় সহস্ত্রাধিক উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠিত হয়েছে। শিক্ষা, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক সুরক্ষা সহ সকল ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধিতার ভিত্তিতে বৈষম্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এই বৈষম্য করলে তাদের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ সহ স্বল্প সময়ে বিনা খরচে প্রতিকারের কঠোর ব্যবস্থাও রয়েছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সম্পদ আত্মসাৎ কিংবা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্য সম্পদ বন্টনের ক্ষেত্রে বৈষম্য করা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তিন বছর পর্যন্ত কারাদন্ডের বিধান রেখে আইন পাশ করা হয়েছে। প্রতিবন্ধিতা বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে ফেসবুক সহ গণমাধ্যমে ব্যঙ্গ করা হলে সেটিও তিন বছর পর্যন্ত কারাদন্ডে দন্ডনীয় অপরাধ। মনোসামাজিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যেকোনো ফৌজদারি অপরাধের বিচার তাৎক্ষনিকভাবে বন্ধ রাখার বিধান থাকলেও আমাদের এই প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর একটা অংশ বেআইনীভাবে কারাগারে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে চিকিৎসার নামে আটকে রাখা হয়, এমন কি পরিবারের সদস্যরা তাদের সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য ভুল ঠিকানা দিয়ে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে বা পুনর্বাসন কেন্দ্রে ফেলে আসেন। সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরিতে সুনির্দিষ্ট কোটা সংরক্ষণের আইন থাকা সত্বেও প্রতিবন্ধী তরুণতরুণীরা চাকুরি না পেয়ে বেকার মানবেতর জীবন যাপন করছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তীর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধিতার কারনে বৈষম্য না করার বিধান থাকলেও আমাদের প্রতিবন্ধী শিশুরা শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নিউরোডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহায়ক সেবা, কেয়ারগিভারের খরচ সহ বিভিন্ন খরচ বহনের জন্য পরিবারের সদস্যদের নগদ সহায়তা দেয়ার আইন থাকলেও বাস্তবে এই সুবিধা কেউ পাচ্ছেন না। ফলে, পরিবারের সদস্যদের দ্বারা অধিকাংশ সময় তারা নিগৃহীত হচ্ছেন কারণ পরিবারের সেই ব্যয় বহনের সামর্থ নেই। বাক শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, মনোসামাজিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অভিভাবকগণ সর্বদা আতঙ্কে থাকেন কারণ এই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগণ গণপরিসরে ব্যাপকভাবে মারধর নিগ্রহের শিকার হয়ে থাকেন। এই ভয়ে তাদেরকে ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় এবং তারা সমাজ থেকে বিচ্যুত হয়ে মানবেতর নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করেন। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্ণীতিগ্রস্ত, এবং তারা অনেক ক্ষেত্রেই নিজের দায়িত্বপালনে উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছেন। তথ্য অধিকার আইনে তথ্য সংগ্রহ করে এই দুর্নীতিবাজদের জবাবদীহীতার আওতায় আনার ব্যবস্থা থাকলেও আইনী সচেতনতার অভাবে সেই ব্যবস্থা কেউ গ্রহণ করছে না।

উপরোক্ত প্রতিটি সমস্যা নিরসনে আইনী প্রতিকার থাকবার পরেও আমাদের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগণ আইনের আশ্রয় গ্রহণ করেনা। এর একটি বড় কারণ আইনী তথ্য সম্পর্কে তারা অবগত নন। কিভাবে এই প্রতিকার সহজে বিনামূল্যে লাভ করা যাবে সেই তথ্য প্রক্রিয়া জানা না থাকার কারণে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগণ অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দেশের প্রায় দেড় কোটি মানুষ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি। গণহারে অধিকার লঙ্ঘিত হবার ফলে এই বিপুল সংখ্যক মানুষ তাদের পরিবার ক্রমশ প্রান্তিক হয়ে পরছেন। দেশের অর্থনীতিতেও এর কুপ্রভাব পড়ছে।

আমাদের নিকট শত শত দৃষ্টান্ত রয়েছে যেখানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগণ শুধুমাত্র আইনী তথ্য জানা থাকার সুবাদে, মামলা না করেও নিজের অধিকার আদায় করতে পেরেছেন। চাকরি পেয়েছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছেন, জমি-জমা উদ্ধার করতে পেরেছেন, ভাতা পেয়েছেন।

অন্যদিকে, যে সকল দেশী ও বিদেশী সংস্থা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করছে সেই সকল সংস্থায় কর্মরত ব্যক্তিগণ প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক প্রচলিত আইন সম্পর্কে অবগত না থাকায় এমনভাবে প্রকল্প ডিজাইন করছেন বা প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালনা করছেন যাতে একদিকে অর্থের অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে নিরলস পরিশ্রম করা সত্বেও অনেকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের চমৎকার উদ্যোগসমূহ ব্যর্থ হচ্ছে। প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক বাংলাদেশের আইন ও প্রতিকার সম্পর্কে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভালো ধারণা থাকলে হয়তো তাদের নিরলস পরিশ্রম অধিক ফলপ্রসূ হতো।

এমতাবস্থায়, ডিজএবিলিটি ক্লিনিক প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত বেসিক আইনী তথ্য প্রদান দক্ষতা তৈরীর জন্য ডিজএবিলিটি প্যারালিগ্যাল ১০১ কোর্স পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই কোর্স সম্পন্ন করার পর যেকোনো অংশগ্রহণকারী নিজেদের আইনী সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে পাবেন এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের যেকোনো আইনী সমস্যা সমাধানে প্রাথমিক আইনী সেবা পরামর্শ প্রদান করতে পারবেন। প্রশিক্ষিত প্যারালিগ্যাল ফোর্স প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তনে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা আশা করছি।

 

 

কোর্সের উদ্দেশ্য ও প্রত্যাশিত ফলাফল

  • এই কোর্সের লক্ষ্য হলো প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তাদের পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করেন এমন ব্যক্তি সংস্থার কর্মীদের বাংলাদেশে প্রচলিত প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক আইন, আদালত বিচারিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মৌলিক ধারণা প্রদান করা। কোর্স সম্পন্নকারী ব্যক্তি নিম্নলিখিত বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করবেনঃ
  • বাংলাদেশের সংবিধান থেকে শুরু করে প্রচলিত আইনী কাঠামো সম্পর্কে মৌলিক ধারণা লাভ করবেন। আইনগুলো কোথায় পাওয়া যাবে সেটি জানতে পারবেন। কমিউনিটি অব প্র্যাকটিসের মাধ্যমে  নিত্য-নতুন আইন সম্পর্কে সারাজীবন আপডেটেড থাকবেন।
  • অধ:স্তন আদালত থেকে উচ্চ আদালত পর্যন্ত আদালতপরিচিতি এবং আদালতের ক্ষমতা অধিক্ষেত্র সম্পর্কে ধারণা লাভ করবেন।
  • আদালত ব্যতিত অন্যান্য কুয়াসিজুডিশিয়াল প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ধারণা লাভ করবেন।
  • একসেস টু জাস্টিস তথা ন্যায়বিচার লাভের জন্য ধাপে ধাপে কি কি করণীয় সে বিষয়ে ধারণা লাভ করবেন।
  •  প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কি কি অধিকার প্রতিকার রয়েছে সেই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা লাভ করবেন।
  • প্রচলিত আইনের সাথে সঙ্গতি রেখে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষা বিষয়ক যেকোনো প্রকল্প তৈরী বাস্তবায়নে দক্ষতা অর্জন করবেন।
  • বিনামূল্যে আইনী সেবা কিভাবে লাভ করা যায়, কারা বিনামূল্যে আইনী সেবা প্রদান করে সেই বিষয়ে ধারণা লাভ করবেন।
  • তথ্য অধিকার আইনে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য লাভের পদ্ধতি জানতে পারবেন। নিজের অন্যের প্রয়োজনে এই সব তথ্য আইনী প্রক্রিয়ায় নিজেই বের করতে পারবেন। তথ্য কমিশনে শুনানী করতে পারবেন।
  • জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ক্ষমতা, কমিশনের নিকট দাখিলের জন্য অভিযোগ লিখার কলাকৌশল, অভিযোগ দাখিল শুনানী করতে পারবেন।
  • প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষা সংক্রান্ত জেলা কমিটির নিকট বৈষম্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করবেন এবং অভিযোগপত্র তৈরী দাখিলে সক্ষম হবেন। কমিটির সম্মুখে নিজের অভিযোগের বিষয়ে নিজেই শুনানী করতে পারবেন।
  • প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের যেকোনো আইনী সমস্যায় প্রাথমিক আইনী সেবা পরামর্শ প্রদান করতে পারবেন।
  • ডিজএবিলিটি প্যালালিগ্যাল কমিউনিটি অব প্র্যাকটিসের সদস্য হিসেবে গ্রুপে সারাবছর বিভিন্ন আইনী ইস্যুতে আলাপআলোচনা করতে পারবেন এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তির আইন অধিকার বিষয়ে নিত্য-নতুন আইনী বিধি-বিধান সম্পর্কে নিজেকে বছর জুড়ে আপডেটেড রাখতে পারবেন।

 

 

কোর্সের স্থায়িত্ব সময়সূচী

প্রতি সপ্তাহে দুটো করে চার সপ্তাহে মোট আট টি ক্লাশ বা সেশন হবে। দ্বিতীয় কোহর্টের ক্লাশগুলো প্রত্যেক শনিবার ও রবিবার সন্ধ্যা ৭.০০টা থেকে রাত ৯.০০ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি ক্লাশের মেয়াদ দুঘন্টা করে মোট ষোল ঘন্টা ক্লাশ হবে।

ক্লাশের বাহিরে রিডিং এসাইনমেন্ট থাকবে।

এই কোর্সে কারা অংশগ্রহণ করতে পারবেন?

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার প্রতিকার বিষয়ক আইনী বিধিবিধান সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক যেকোনো ব্যক্তি এই কোর্সে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। দ্বিতীয় কোহর্টে নিম্নলিখিত ব্যক্তিগণ নিজের অধিকার আদায় ও পেশাগত দক্ষতার উন্নয়নে কোর্সটিতে অংশগ্রহণ করতে পারেনঃ

·       যেকোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তি তাদের পরিবারের সদস্য

·       প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠন তথা ওপিডি নেতা কর্মীবৃন্দ এবং বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যয়নরত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী

মোহাম্মদ রেজাউল করিম সিদ্দিকী, আইনজীবী, সুপ্রীমকোর্ট অব বাংলাদেশ অত্র কোর্সটি পরিচালনা করবেন। জনাব রেজাউল করিম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (অনার্স) ও এলএলএম সম্পন্ন করেছেন ২০০৬ সালে। বিগত ১৮ বছর যাবৎ তিনি দেশী-বিদেশী সংস্থায় একসেস টু জাস্টিস, লিগ্যাল এইড এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও সুরক্ষার বিষয়ে গবেষণা, এডভোকেসি, দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রকল্প পরিচালনার দায়িত্বপালন করছেন। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকারের বিষয়ে তিনি একাধিক বই লিখেছেন এবং তার লিখা আর্টিকেলসমূহ দেশী-বিদেশী জর্নাল ও পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। রেজাউল করিম সিদ্দিকী একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুনঃ https://rejaulsiddiquee.com/

এটি একটি পেইড কোর্স। কোর্সের মান ঠিক রাখা এবং কোর্স পরিচালনার ব্যয় নির্বাহের জন্য এই কোর্সের জন্য নিম্নরূপ স্লাইডিং কোর্স ফি স্ট্রাকচার নির্ধারণ করা হয়েছে।

*     প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠন তথা ওপিডি’র নেতা-কর্মী এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের জন্য কোর্স ফি ৩৫০০ টাকা।

 

*     বেকার ও তরুণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য কোর্স ফি ২৫০০ টাকা। 

কোর্স ফি কিভাবে পরিশোধ করবেন?

*     +৮৮০ ১৭৩২১০৬৩৭৯ নম্বরে বিকাশনগদ অ্যাপের মাধ্যমে কোর্স ফি পরিশোধ করা যাবে।

*     দ্বিতীয় কোহর্টে রেজিস্ট্রেশনের শেষ তারিখ ৩০ আগষ্ট ২০২৪ শুক্রবার। আপনি দ্বিতীয় কোহর্টে অংশ্রগহণে আগ্রহী হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আমরা আপনাকে রেজিস্ট্রেশনের জন্য একটি গুগল ফরম প্রেরণ করব। কোর্স ফি পরিশোধ সাপেক্ষে ফরম টি যথাযথভাবে পূরণ করে পাঠালে আমরা আপনাকে মানি রিসিপ্ট, ক্লাশে অংশগ্রহণের লিঙ্ক সহ প্রয়োজনীয় তথ্য প্রেরণ করব।

*     দ্বিতীয় কোহর্টের ক্লাশ ৩১ আগষ্ট ২০২৪ তারিখ শনিবার শুরু হয়ে ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ রবিবার শেষ হবে।

এই কোর্সে অংশগ্রহণের জন্য কোনো ধরণের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতা বা আইনী শিক্ষার প্রয়োজন নেই, কারণ এই কোর্সটি ইনক্লুসিভ পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে। অংশগ্রহণকারীদের প্রতিবন্ধী ব্যক্তি তাদের অধিকার সুরক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।

কোর্সটি বাংলা ভাষায় পরিচালিত হবে।

সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ইউজার তথা বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বাংলা ইশারা ভাষা অনুবাদকারী নিশ্চিত করা হবে। কোর্সটি সাধারণ ও সহজ ভাষায় ধীরগতিতে পরিচালিত হবে যাতে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সহ সকলের জন্য প্রবেশগম্য ও সহজবোধ্য হয়। এছাড়াও কোর্সে অংশগ্রহণকারীর চাহিদা ও অনুরোধের প্রেক্ষিতে রিজনেবল একোমোডেশন প্রদান করা হবে।

কোর্স আউটলাইন ও মেথডোলজি

চারটি মডিউলের সমন্বয়ে কোর্সটি গঠিত। প্রতিটি মডিউলের জন্য দুটো ক্লাশ তথা মোট আট টি ক্লাস হবে। প্রতিটি মডিউলের প্রথম ক্লাস তাত্বিক আলোচনা ভিত্তিক, এবং পরের ক্লাশটি প্র্যাকটিস নীর্ভর হবে। প্র্যাকটিস ক্লাশে বাস্তব ঘটনার আলোকে বিভিন্ন কেইস বা আইনী সমস্যা দেয়া হবে এবং গ্রুপে আলোচনা করে সেই কেইস সমাধান করতে হবে। প্রতিটি ক্লাশের জন্য দুঘন্টা হিসেবে মোট ষোল ঘন্টায় পুরো কোর্সটি সম্পন্ন হবে।

*     মডিউল : বাংলাদেশের আইনী কাঠামো

o   আইন কি, আইনের শ্রেণী বিভাগ (সাবস্টেনটিভ, প্রসিডিউরাল, জেনারেল, স্পেশাল আইন ইত্যাদি)

o   কোর্ট পরিচিতি, কোর্টের ক্ষমতা ও অধিক্ষেত্র

o   কুয়াসিজুডিশিয়াল প্রতিষ্ঠান

o   একসেস টু জাস্টিসের ধাপ সমূহ ও ন্যায়বিচার লাভের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে করনীয়সমূহ।

 

*     মডিউল : প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক আইন

o   কনভেশন অন দ্যা রাইটস অব পারসন্স উইদ ডিজএবিলিটিস (সিআরপিডি)

o   প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার সুরক্ষা আইন, ২০১৩

o   নিউরোডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, ২০১৩

o   প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক অন্যান্য আইন, প্রজ্ঞাপন ইত্যাদি

 

*     মডিউল : বিনামূল্যে আইনী সহায়তা, তথ্য অধিকার আইন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

o   আইনী সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০

o   তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯

o   জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯

 

*     মডিউল ৪: আইন প্রয়োগ পদ্ধতি

o   অধস্তন আদালত উচ্চ আদালতে মামলা

o   বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি

o   প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার সুরক্ষা আইনের ৩৬ ধারায় বৈষম্যের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরনের অভিযোগ (ড্রাফটিং, ধারাবাহিক কার্যপদ্ধতি শুণানী)

o   রিট জনস্বার্থ মামলা

 

কোর্সটি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ১৫ জুন ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত ব্রিফিং মিটিং এর রেকর্ডেট ভিডিও দেখুন এখানে: https://youtu.be/EgUn2b7Jv3g?si=bw1Tt_bKIgn9BhB2

ডিজএবিলিটি প্যালালিগ্যাল কমিউনিটি অব প্র্যাকটিস

কোর্সটি সফলভাবে সম্পন্ন করার পর সকল অংশগ্রহণকারী একটি প্যারালিগ্যাল কমিউনিটি অব প্র্যাকটিসের অন্তর্ভুক্ত হবেন। তারা একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ও একটি ফেসবুক প্রাইভেট গ্রুপের  সদস্য হিসেবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিভিন্ন আইনী ইস্যুতে আলাপআলোচনা ও বুদ্ধি-পরামর্শ করতে পারবেন। যেকোনো আইনী সমস্যা সমাধানে একযোগে কাজ করতে পারবেন। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আইন ও অধিকার বিষয়ক বিভিন্ন সম-সাময়িক আইনী তথ্যের আপডেট গ্রুপে শেয়ার করা হবে ফলে সকলেই এতদ বিষয়ে আপডেটেড থাকতে পারবেন। এই কমিউনিটি অব প্র্যাকটিসের সদস্যগণের জন্য ”প্যারালিগ্যাল আড্ডা” নামে মাসে একটি করে ওয়েবিনার আয়োজন করা হবে যাতে আইনী বিষয়গুলো চর্চায় রাখা যায়।

মোবাইল ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর: +৮৮০ ১৭৩২১০৬৩৭৯

ইমেইল: dijla.bd2016@gmail.com

One response to “ডিজএবিলিটি ল’ প্যারালিগ্যাল ১০১কোর্স (অনলাইন) | দ্বিতীয় কোহর্ট”

  1. Animesh Toju Avatar

    I am very excited seeing the Disability Law.
    Thanks
    Animesh

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *